কোরবানির ইতিহাস

কোরবানির ইতিহাস

কোরবানি শব্দের অর্থ উৎসর্গ বা ত্যাগ। ইসলামী পরিভাষায় কোরবানি হচ্ছে মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের জন্য প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালার নামে নির্দিষ্ট কিছু জন্তু জবাই করা।
কোরবানির ইতিহাস
কোরবানির ইতিহাস
 জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ ঈদ-উল আযহা এর সালাতের পর থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত এর নিদৃষ্ট সময়। কোরবানি সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন- 

"সকল সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি ( মহান আল্লাহ তায়ালা) তাদের (মানবজাতির) জীবণ উপকরণস্বরূপ যেসকল চতুষ্পদ প্রাণী দিয়েছেন, সেগুলোর উপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। (সুরা হজ, আয়াত: ৩৪)"

আজকে আমরা এই কন্টেন্টে কোরবানির ইতিহাস সম্পর্কে জানব। পাশাপাশি এর উদ্দেশ্য,বিধান ও এর শিক্ষা সম্বন্ধে জানবো।

    হাবিল ও কাবিলের কোরবানির ইতিহাস

    আমাদের আদি পিতা ও পৃথিবীর প্রথম মানব হচ্ছেন হযরত আদম (আঃ)  এবং তার সময় থেকেই মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কোরবানির প্রচলন রয়েছে। তাই বলা যায় ইসলামে কোরবানির ইতিহাস হচ্ছে অনেক প্রাচীন। মহান আল্লাহ তা'আলা এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেছেন। তিনি সূরা মায়িদাহ এর ২৭ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করেছেন-
    "তুমি তাদেরকে ( আহলে কিতাবদের) আদমের পুত্রদ্বয়ের( হাবিল ও কাবিলকে বোঝানো হয়েছে) ঘটনা সঠিকভাবে পাঠ করে শুনে দাও;যখন তারা দুইজনই এক-একটি কোরবানি উপস্থিত করলো এবং তার মধ্য হতে একজনের কোরবানি ( হাবিলেরটা) কবুল হলো এবং অপরজনের (কাবিলেরটা) কবুল হলোনা। অপরজন বলতে লাগলোঃ আমি তোমাকে নিশ্চয়ই হত্যা করবো, প্রথমজন তখন বললো, আল্লাহ তায়ালা আল্লাহ ভীরুদের আমলই কবুল করে থাকেন। (সুরা আল-মায়িদা, আয়াত নম্বর ২৭)।"
    মহান আল্লাহ তায়ালা একটি ঘটনার উপর ভিত্তি করে হযরত আদম (আঃ) এর ছেলে হাবিল ও কাবিলকে আল্লাহর নিকট কোরবানি পেশ করতে বলেছিলেন। এটি একটি অনেক লম্বা ঘটনা। কিন্তু আমরা তা সংক্ষেপে জানবো এবং তারপরে মূল টপিকে এসে যাব।
    হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ) কে মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে প্রেরণ করার পর তারা তাদের বংশবৃদ্ধি করতে শুরু করে। তখন হযরত হাওয়া  (আঃ) এর গর্ভে যমজ সন্তান অর্থাৎ জোড়া জোড়া করে সন্তান জন্ম গ্রহণ করতো। তবে একজনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে এবং তিনি হচ্ছেন হযরত শীস (আঃ)। তখন পারস্পরিক ভাই-বোন ব্যতীত হযরত আদম (আঃ) এর আর কোন সন্তান ছিল না যে তাদের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করবে। তখন মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম  (আঃ) এর শরীয়তে বিশেষভাবে একটি নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশটি এমন ছিল যে, একই গর্ভ থেকে যেই যমজ বা জোড়া পুত্র ও কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করবে তারা পরস্পর সহোদর ভাই-বোন হিসেবে গণ্য হবে এবং তাদের মধ্যকার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সম্পূর্ণ হারাম। তখন এই সময়ে কাবিলের সাথে যে সহোদর বোন জন্ম নিয়েছিল সে ছিল অনেক সুন্দরী এবং তার নাম ছিল আকলিমা। অপরদিকে হাবিলের সাথে যে সহোদর বোন জন্ম নিয়েছিল সে আকলিমার মত এত সুন্দরী ছিল না এবং তার নাম ছিল লিওযা। কিন্তু কাবিল মহান আল্লাহতালার বিধান লংঘন করে তার জোড়ার সাথে জন্ম নেওয়া আকলিমার সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য অবশেষে হযরত আদম  (আঃ) বললেন,
    "তোমরা উভয়ে মহান আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে কোরবানি পেশ করো এবং যার কোরবানি মহান আল্লাহ তা'আলার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে তার সাথে আকলিমার বিয়ে দেওয়া হবে।"

    আমরা বর্তমানে যখন কোরবানি দেই তখন আমরা বুঝতে পারি না যে আমাদের মধ্যে কার কোরবানি কবুল হয়েছে আর কারই বা হয়নি। কিন্তু হযরত আদম  (আঃ) এর সময় কোরবানি কবুল হওয়া বা না হওয়ার একটি সুস্পষ্ট নিদর্শন ছিল। নিদর্শনটি এমন ছিল যে, যার কোরবানি কবুল হোতো আকাশ থেকে একটি অগ্নিশিখা এসে সেই কোরবানিকে ভষ্মিভূত করে ফেলত এবং যারটা কবুল হতো না তারটা ঠিক সেই জায়গায়ই পড়ে থাকতো।এই দুই ভাইয়ের মধ্যে কাবিল ছিল চাষী এবং হাবিল ছিল পশু পালনকারী। কোরবানির জন্য কাবিল গমের শীষ থেকে ভালো গুলো বের করে নিয়ে খারাপ গুলোর একটি আটি কোরবানির জন্য পেশ করল এবং হাবিল তার জন্তুর মধ্যে সবচেয়ে ভালো এবং উৎকৃষ্ট একটি দুম্বা কোরবানির জন্য পেশ করল। তখন সেই নিদর্শন অনুযায়ী আকাশ থেকে একটি অগ্নিশিখা এসে হাবিলের কোরবানিকে ভষ্মিভূত করল এবং কাবিলের দেওয়া কোরবানি টি সেই জায়গায় পড়ে থাকল। অনেক বর্ণনায় পাওয়া যায় সে,

    "মহান আল্লাহর জন্য হাবিলের পেশকৃত দুম্বাটি মহান আল্লাহ তাআলার জান্নাতে উঠিয়ে নেন এবং তার জান্নাতে বিচরন করতে থাকে। অবশেষে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর ওপর আরোপিত কোরবানির সময় ইসমাইল (আঃ) এর স্থলে দুম্বাটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।"

    এই ভাবেই হাবিলের কোরবানিটি কবুল হলো এবং কাবিলের  কোরবানিটি কবুল হলো না। তারপর আরো অনেক ঘটনা ঘটেছে যা এই কনটেন্টে আলোচনার মুখ্য বিষয় নয়। পরবর্তীতে ইনশাল্লাহ এই নিয়ে আরও বিস্তারিত লেখা হবে।

    তবে বর্তমানে আমাদের মুসলিম সমাজে যেই কোরবানির প্রথা প্রচলিত আছে তা হাবিল ও কাবিলের  অনুসরণে নয় বরং আল্লাহ কতৃক হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ও হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর আদর্শে ও দেখানো পথ অনুসরণে। 

    হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ও হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর কুরবানীর ইতিহাস

    আমাদের জাতির পিতা হচ্ছেন হযরত ইব্রাহিম (আঃ)। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে বৃদ্ধ বয়সে একটি পুত্রসন্তান দান করেন। যার নাম হযরত ইসমাঈল (আঃ)। আমরা তাদের অনুসরণেই ও মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের জন্য কোরবানি করে থাকি। এ নিয়ে একটি হাদিস নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
    "একদিন সাহাবা কেরাম আমাদের বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এ জিজ্ঞাসা করলেন, "ইয়া রাসুল-আল্লাহ! কোরবানিগুলো কী? তখন আমাদের বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উত্তর দিলেন, "এটি তোমাদের আদিপিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর সুন্নত। তখন আবার সাহাবা কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, " এর ফলে কী পাওয়া যায়?" তখন আবার  আমাদের বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইরশাদ করেন, "কোরবানিকৃত পশুটির প্রতি লোমের পরিবর্তে এক একটি সাওয়াব"। (ইবনে মাযাহ)।"

    এই হাদিসে আরো উল্লেখ আছে, কোরবানি এমন একটি ইবাদত যা পূর্ববর্তী শরীয়তে ছিল এবং ইসলামি শরীয়তে তা বহাল আছে।

    হযরত ইসমাঈল (আঃ) যখন কিশোর বয়সে উপনীত হলেন  তখন তার পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) স্বপ্নে তার পুত্র হযরত ইসমাঈল (আঃ) কে কোরবানি করতে দেখেন। মূলত এটা ছিলো মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে একটি আদেশ। তারপর আমাদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) তার ছেলে হযরত ইসমাঈল (আঃ) কে তা বললো। হযরত ইসমাঈল (আঃ) তারপর বিনীতভাবে যা উত্তর দিয়েছিলেন তা মহান আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে উল্লেখ করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,

    "অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে কাজ করার মতো বয়সে উপনীত হলো ( অর্থাৎ কিশোর বয়সে) তখন ইব্রাহিম বললো, আমি স্বপ্নে দেখি যে তোমাকে আমি জবাই করছি। এখন তোমার অভিমত কি?, বল। সে (হযরত ইসমাঈল আঃ) বলল, হে আমার পিতা! আপনি যা আদেশপ্রাপ্ত হয়েছেন তাই করুন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।" (সূরা-আস-সাফফাত;আয়াতঃ ১০২)

     হযরত ইব্রাহিম (আঃ) মহান আল্লাহ তা'আলার আদেশ পালনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। তখন তিনি তার পুত্রকে কোরবানি করার উদ্দেশ্যে মক্কার নিকটবর্তী এলাকা মিনা প্রান্তরে নিয়ে যান। পথিমধ্যে শয়তান বেশ কয়েকবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা শয়তানকে পাথর মেরে তাড়িয়ে দেয়। মিনা প্রান্তরে যাওয়ার পর পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) তার পুত্র ইসমাঈল (আঃ) এর গলায় বেশ কয়েকবার ছুরি চালান। কিন্তু কোনোভাবেই তিনি সফল হচ্ছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি দেখতে পেলেন হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর পরিবর্তে একটি দুম্বা জবাই হয়ে গেছে।

    এইখানে হযরত  ইব্রাহিম (আঃ) ও হযরত ইসমাঈল (আঃ) আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি যে নিদর্শন পেশ করেছেন তা স্মরণীয় করে রাখার জন্য এটিকে মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের উপর ওয়াজিব ইবাদত হিসেবে আরোপ করেছেন।

    কোরবানির গুরুত্ব ও তাৎপর্য

    কোরবানি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মুসলমানদের জন্য ওয়াজিব। তবে তা সকলের উপর নয়। যারা নিসাব পরিমাণ বা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের মালিক তাদের উপর কোরবানি করা ওয়াজিব। মহান আল্লাহ তা'আলা সূরা-আল-কাউসারে উল্লেখ করেছেন,

    " তুমি তোমার রবের জন্য সালাত আদায় করো এবং কোরবানি করো (সূরা কাউসার, আয়াতঃ০২)"

    প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক বছর কোরবানি করেছেন। তিনি কখনো কোরবানি পরিত্যাগ করেন নি বরং যারা পরিত্যাগ করে তাদের প্রতি তিনি ধিক্কার জানিয়েছেন। সাহাবি আবু হুরাইরা (বাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

    " যে ব্যক্তি তাঁর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করে না, সে ব্যক্তি যেন আমাদের ঈদের নামাজে ঈদগাহ মাঠের কাছেও যেন না আসে।" (সুনানে ইবনে মাজাহ। হাদিস নম্বরঃ ৩১২৩)।

    ইসলাম ধর্মে যে কোরবানির অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে তা আর বলে বোঝাতে হবে না বলে আমি আশা করি। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে এটি বিত্তশালীদের জন্য যেন কেমন একটি ভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অনেকেই তাদের সম্পদের প্রাচুর্যতা দেখানোর জন্য অনেক বড় পশু ক্রয় করে থাকেন। তবে আবার সকল বিত্তশালীরা নয়। যারা অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই মূলত এই কাজটা করে থাকে। কোরবানির মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলার নিকট সেই পশুর গোশত বা এর রক্ত পৌঁছায় না, পৌঁছায় শুধু মনের তাকওয়া। এই কথাটি হাদীসে উল্লেখ আছে। তাই ছোট পশু বা বড় পশু কোন ব্যপার নয়, মূল জিনিসটি হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে বড় পশু বা ছোট পশু এমন নিদৃষ্ট পরিমাণের পশু নির্ধারণ করে দেননি। তবে পশুদের জন্য নিদৃষ্ট বয়স রয়েছে। তাই যার যার যেমন সামর্থ্য সে অনুযায়ী কোরবানি দেওয়া  উচিত। মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি কবুল করাটা ও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভই মূখ্য বিষয়। কোরবানির মাধ্যমে মানুষের মনে লুকিয়ে থাকা পশুত্বকে বিসর্জন দেওয়া হয় মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলা হয়। কোরবানির গোশত সকলের মধ্যে বিতরণ করার ফলে সেই দিন সকলের ঘরে অনেক ভাল রান্না হয় এবং সকলে অনেক খুশি থাকে। তাছাড়া আমাদের পৃথিবীতে যে পরিমাণ গবাদিপশু উৎপাদিত হয় তাদেরকে যদি কোরবানি করা না হতো তবে মানুষের বসবাস করা যায় অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে যেত। কেননা অনেক অনেক প্রাণীকে জায়গা দেওয়ার জন্য অনেক জায়গার প্রয়োজন হতো। মহান আল্লাহ তা'আলা সকল প্রাণীকে শুধুমাত্র আমাদের তথা মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আমরা সকলে আমাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি করবো এবং মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করব ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে সত্য ও কল্যাণের পথে চলার তৌফিক দান করুন। (আমিন)।

    বি,দ্রঃ আশা করি, লেখাটি ভালো লাগবে। লেখায় যদি কোন প্রকার ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে লিখুন এবং দয়া করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। (আসসালামুয়ালাইকুম)।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
    comment url