কৃষিকাজে বিজ্ঞান রচনা

কৃষিকাজে বিজ্ঞান রচনা | কৃষি ও বিজ্ঞান রচনা ৬ষ্ঠ শ্রেণি, ৭ম শ্রেণি, ৮ম শ্রেণি, ৯ম শ্রেণি, এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য।

কৃষিকাজে বিজ্ঞান রচনা
কৃষিকাজে বিজ্ঞান রচনা

    ভূমিকা

    বর্তমান যুগ হচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগ। কালের বিবর্তনে উদ্ভাবিত হচ্ছে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি। আর এই বিজ্ঞানের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন আমাদের সাধারণ মানুষের জীবনে নিয়ে এসেছে এক অনন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তন। বিজ্ঞানের প্রায়ােগিক দিকের নামকে বলা হয় প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাত্রার ঘটিয়েছে এক অনন্য পরিবর্তন এবং করে তুলেছে অত্যন্ত আরামদায়ক। সকলক্ষেত্রে এর জয়যাত্রার মতো কৃষিক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের জয়যাত্রা লক্ষণীয়। কেননা বর্তমান সময়ে আবিষ্কৃত হয়েছে অসংখ্য কৃষি প্রযুক্তি এবং এসকল অসংখ্য কৃষি প্রযুক্তিই কৃষিকাজকে করে তুলেছে অত্যন্ত সহজসাধ্য। পাশাপাশি অজস্র উচ্চফলনশীল জাতের ফসল আবিষ্কারের মধ্য দিয়েও কৃষিপণ্য হয়েছে সহজলভ্য।

    মানবজীবনে কৃষিকাজের গুরুত্ব

    আমাদের মানবজীবনে কৃষিকাজের গুরুত্ব ব্যাপক। বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে। বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের অধিকাংশ মানুষ অর্থাৎ ৮০ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে এবং গ্রামের বেশিরিভাগ লোকের পেশাই হচ্ছে কৃষি। আমাদের জীবণধারণের জন্য প্রয়োজন খাদ্য। এই খাদ্য আমরা উদ্ভিদ থেকে পেয়ে থাকি। জমি মাড়াই করে ফসল ফলানো ও গৃহপালিত পশু উৎপাদন প্রক্রিয়াকে কৃষি বলে। আর এই মাধ্যমেই আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যের যোগান দিই। আর এই প্রক্রিয়াকে সহজলভ্য করার কারণে বিজ্ঞানীরা এ বিষায়ক অনেক গবেষণা করে নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করছে। যারই ধারাবাহিকতায় আমরা বাজারে দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন প্রযুক্তি।

    কৃষির অতীত-কথা

    কৃষি হচ্ছে আমাদের মানব সভ্যতার এক আদিম পেশা। পৃথিবীর সৃষ্টির শুরুর দিকে জীবন ধারণের জন্য আদিম মানুষ প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে উৎপন্ন ফলমূল তাদের গুহায় নিয়ে আসতাে এবং তার পাশাপাশি বনজঙ্গলের পশু-পাখি শিকার করতাে। আর এ দিয়েই তখনকার সময়ের আদিম মানুষেরা খাবারের চাহিদা পূরণ করতো। কিন্তু প্রকৃতির উপরে আদিম মানুষের পূর্ণ নির্ভরশীলতার কারণে প্রায়ই তাদেরকে খাদ্যের অভাব ও সংকটে পড়তে হতাে। বছরের কিছু সময়ে তাদের কপালে কোনাে প্রকার ভালো খাবার জুটত না। যার কারণে খাদ্যের সন্ধানে তাদেরকে একস্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়াতে হতাে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আদিম মানুষ এক পর্যায়ে পশুপালন ও বীজ বপন করতে শেখে। এর ফলে খাদ্যদ্রব্য সুলভ হয় এবং জীবনযাত্রা হয়ে ওঠে পূর্বাপেক্ষা সহজ ও নিশ্চিন্ত। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তনের আগে পর্যন্ত কৃষিকাজ ছিল অত্যন্ত শ্রমসাপেক্ষ এবং প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল একটি ব্যাপার।

    কৃষি ও বিজ্ঞান 

    বিজ্ঞানের আশীর্বাদে ধীরে ধীরে কৃষি ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটছে। কৃষিকাজকে অধিকতর সহজ ও কম শ্রমসাধ্য করতে কৃষি-বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণা করছেন ও চালিয়ে গেছেন অদম্য চেষ্টা। যার ফলে একদিকে যেমন চাষ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে, তেমনিভাবে ফসল নির্বাচন ও নতুন নতুন ফসল তৈরির কাজেও অগ্রগতি হচ্ছে। কৃষি-বিজ্ঞানের এসব গবেষণা পৃথিবীকে আজ শস্যে ও ফসলে সমৃদ্ধ করে তুলেছে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির আশীর্বাদে পৃথিবীর মানুষের জন্য এখন যতটা ফসল দরকার, তার চেয়ে অনেক বেশি ফসল পৃথিবীতে ফলছে। জমিকে উর্বর ক্রার জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে নানান প্রকার সার। পুরানাে প্রযুক্তির লাঙল-মই প্রভৃতির পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে ট্রাক্টর। পাশাপাশি উদ্ভাবিত হয়েছে উন্নত জাতের বেশ কয়েক প্রকার বীজ ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত। এতে অল্প সময়ে ও অল্প পরিশ্রমে অধিক ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। ফসল এবং বীজ উৎপাদন এবং তা সংরক্ষণেও সহযােগিতা করে চলেছে  বিজ্ঞান। এই বিজ্ঞান সেচ ব্যবস্থায়ও এসেছে ব্যাপক এক পরিবর্তন। অতীতে সেচের জন্য নির্ভর করতে হতো বৃষ্টিপাতের উপর এবং নদী থেকে সেচ দিতে হতো। কিন্তু বর্তমানে আধিনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতি সহজেই সেচ প্রদান করা যায়। তাছাড়া পশু-পাখি ও মাছের রােগজনিত মৃত্যুর হারও হ্রাস পেয়েছে উন্নত কৃষি-চিকিত্সার অগ্রগতির কারণে। ঠিক এভাবেই কৃষি-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কৃষিকাজের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।

    আরো পড়ঃ শোক দিবস রচনা

    উন্নত বিশ্বে কৃষি

    উন্নত দেশগুলাের বেশিরভাগই কৃষি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিজ্ঞাননির্ভর। সেসুকল দেশে জমিতে বীজ বপন থেকে শুরু করে ঘরে ফসল তােলা পর্যন্ত সমস্ত কাজেই রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার। বিভিন্ন ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছে তাদের মাধ্যমে। যেমনঃ মােয়ার যাকে বাংলায় বলা হয় (শস্য ছেদনকারী যন্ত্র), রপার (ফসল কাটার যন্ত্র), বাইন্ডার (ফসল বাঁধার যন্ত্র), থ্রেশিং মেশিন (মাড়াই যন্ত্র), ফিড গ্রাইন্ডার (পেষক যন্ত্র), ম্যানিউর স্পেডার (সার বিস্তারণ যন্ত্র), মিল্কার (বৈদ্যুতিক দোহন যন্ত্র) ইত্যাদি উন্নত দেশগুলাের কৃষিক্ষেত্রে অত্যন্ত জনপ্রিয় যন্ত্র যা যুক্ত্ররাষ্ট্, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিভিন্ন উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের খামারে ব্যবহার করা হয়। এসকল ট্রাক্টরের মাধ্যমে একদিনে ১০০ একর পর্যন্ত জমি চাষ করা সম্ভব হয়। একই ট্রাক্টর আবার একসঙ্গে ফসল কাটার যন্ত্র হিসেবেও কাজ করে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশও পিছিয়ে নেই এ দিক থেকে। এর মধ্যে রয়েছে চীন, জাপান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশ যা কৃষি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তুলেছে।

    কৃষি ও বাংলাদেশ

    বর্তমান কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের মােট জাতীয় আয়ের শতকরা ৩৮ শতাংশ আসে এই কৃষি থেকে এবং রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ১৪ শতাংশ আসে কৃষিজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে। পাশাপাশি দেশের মানুষের কর্মসংস্থান ও শিল্পের ভিত্তি হিসেবেও বাংলাদেশে কৃষি অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু কৃষিকাজের জন্য খুবই অনুকূল। এটি সৃষ্টিকর্তার দান। এদেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর এবং এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক জল-ভান্ডার। আধুনিক প্রযুক্তি উন্নত দেশগুলাের মাটির অনুর্বরতাকে এবং পানির দুর্লভতাকে যেভাবে দূর করেছে, তাতে আধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশের জন্য আরাে বেশি সুবিধা নিয়ে আসবে তা অতি স্বাভাবিক এবং আশা করাইয় যায়। কিন্তু বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থা এখনাে অনেকাংশে নির্ভরশীল প্রকৃতির উপরে। যার ফলে বন্যা, খরা, জলােচ্ছাসের মতাে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের বাংলাদেশের প্রচুর ফসল নষ্ট হয়, আবার অনেক সময়ে আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম ফসল ফলে। কৃষকের কাছে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও কৃষি-বিজ্ঞানের জ্ঞান পৌছে না দিতে পারাই হচ্ছে এর অন্যতম প্রধান কারণ। তবে কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এরূপ সংকট দূর করা যায় এবং উন্নত দেশগুলাের মতাে বাংলাদেশকেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তােলা যায়।

    কৃষিতে বাংলাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত

    বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এতো জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজন অতিরিক্ত খাদ্য যা বাংলাদেশ অনেকসময় যোগান দিতে ব্যার্থ হয়। এর মূল কারণ হচ্ছে অন্যান্য উন্নত দেশ যে হারে কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা থেকে বাংলাদেশ অনেকটা পিছিয়ে। যেমনঃ জাপানের মাটির উৎপাদন ক্ষমতা আমাদের বাংলাদেশের এক-চতুর্থাংশ। কিন্তু তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের প্রয়োজনীয় ফসল উৎপাদন করছে এবং খাদ্য সংকট থেকে তারা মুক্ত।

    বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা

    যেহেতু বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ, তাই কৃষির উন্নতির উপরেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অনেকাংশে নির্ভরশীল। যার জন্য আমাদের কৃষি-বিজ্ঞান ও কৃষি-প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণার কোনাে বিকল্প নেই। বাংলাদেশ অবশ্য কৃষি গবেষণার দিক থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় ইতোমধ্যে বহু নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল ফসল উদ্ভাবন করেছে, বহু কৃষিবান্ধব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে এবং বহু ধরনের কৃষিপণ্যকে বাজারজাত করণের ব্যাপারে নতুন নতুন কৌশল বের করেছে। অর্থাৎ কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ কোনােভাবেই পিছিয়ে নেই। তবে এখন আমাদের প্রয়ােজন হচ্ছে এসব উদ্ভাবনকে দেশের সর্বত্র সহজলভ্য করে তােলা এবং কৃষককে এসব উদ্ভাবনের সঙ্গে ভালোকরে পরিচিত করে তােলা। কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য শিক্ষিত জনবলকে কৃষিকাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে এবং কৃষিকাজের সঙ্গে তাদের যুক্ত করতে হবে। এই কাজ করলে কৃষি খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন অনেকটা সহজ হযয়ে যাবে এবং এটি করার ফলে আধুনিক কৃষি-প্রযুক্তির ব্যবহার ও এর যথাযথ প্রয়ােগ সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিন্ত হওয়া যেতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কৃষকদেরকে নিয়মিতভাবে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যা বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

    বাংলাদেশে কৃষি গবেষোণা প্রতিষ্ঠান

    বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হওয়া সত্বেও এ দেশে রয়েছে কৃষি নিয়ে গবেষনার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এর মধ্য রয়েছে যেমন- BRRI (Bangladesh Rice Research Institute)। এখানে ধানের জাত নিয়ে গবেষণা করা হয় ও নতুন জাতের বিভিন্ন ধান উৎপাদন করা হয়। আপরদিকে আরেক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে BINA (Bangladesh Institute of Nuclear Agriculture) এবং এ সকল প্রতিষ্ঠান কৃষির উন্নয়নে ব্যাপকতর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে বাংলাদেশে রয়েছে বেশ কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে কৃষি নিয়ে গবেষণা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যা ময়মনসিংহে অবস্থিত।

    উপসংহার

    কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক হারে ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি দিন দিন মজবুত হচ্ছে। এর কারণে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আমাদের সোনার বাংলাদেশের এই অগ্রগতিকে টেকসই করার জন্য প্রয়ােজন হচ্ছে কৃষি সংক্রান্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারকে অধিক সহজলভ্য করা। তার পাশাপাশি বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে ফসলহানির আশঙ্কা তৈরি না হয় অথবা উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরণে যাতে কোনাে প্রকার সমস্যা না হয়, সেক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অন্যান্য শাখাকেও কৃষির স্বার্থে যথাযথভাবে ব্যবহার করা। তবে প্রথমত এর জন্য দরকার শিক্ষিত জনগােষ্ঠীকে কৃষিপেশায় আকৃষ্ট করা এবং এই শিক্ষিত জনশক্তিকে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত করা। কেননা শিক্ষিত মানুষ ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার অনেক কষ্টসাধ্য। তাই যদি এই জনশক্তি কৃষিকাজে এগিয়ে আসে তবে কৃষি-বিজ্ঞান ও কৃষি-প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এজন্য সরকারের পিষ্ঠপোষকতা দরকার এবং সরকারের উচিত এই কৃষি পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ও বিশেষভাবে কৃষিকাজে সফল হওয়া ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করা,সম্মানিত করা। যাতে করে তাদের সামাজিক মর্যাদা বাড়বে এবং অধিক সংখ্যক শিক্ষিত লােক কৃষিপেশায় আগ্রহী ও আকৃষ্ট হবে। আর এইভাবে কৃষিকাজের সঙ্গে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সম্পর্ক মজবুত করতে পারলে এমন এক পরিবেশ দৃষ্টি হবে যা কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদূর।

    বিঃদ্রঃ আশা করি, রচনাটি তোমাদের ভালো লেগেছে। নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দাও তোমার মূল্যবান কথা। ধন্যবাদ। আসসালামুয়ালাইকুম। নামাজ পড়ো, নামাজের দিকে মানুষকে আহ্বান কর। বিদায়।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
    comment url